মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য একে অপরের সাথে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা, ব্যস্ততার মাঝে আমাদের মানসিক অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যায়। তবে কিছু সহজ অভ্যাস মানসিক সুস্থতা ধরে রাখতে বড় ভূমিকা রাখে......
১. নিয়মিত ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক শক্তি বাড়ায় এবং মনোযোগ ধরে রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। রাত জেগে দিনে ঘুমানোর অভ্যাস ত্যাগ করুন।
২. নিজেকে সময় দিন
প্রতিদিন মাত্র ১৫–২০ মিনিট নিজের জন্য রাখুন। এই সময়ে বাস্তবিক পেরেশানি থেকে দূরে থাকুন। বই পড়া, গান শোনা বা শুধু চুপচাপ বসে থাকা—যা ভালো লাগে তাই করুন।
৩. ব্যায়াম বা হালকা শারীরিক কার্যকলাপ
হাঁটা, যোগব্যায়াম বা যে কোনো ব্যায়াম মানসিক চাপ কমায় এবং ‘হ্যাপি হরমোন’ বাড়ায়। নিয়মিত ২০–৩০ মিনিট ব্যায়াম মানসিক স্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৪. সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখুন
বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিবারের সাথে নিয়মিত কথা বলুন। মন খারাপের সময় কথা বলা মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর।
৫. অতিরিক্ত সোশ্যাল মিডিয়া এড়িয়ে চলুন
অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা, নেতিবাচক কনটেন্ট—এসব মানসিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। তাই প্রয়োজন ব্যতীত সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।
৬. ইতিবাচক চিন্তা গড়ে তুলুন
প্রতিদিন অন্তত কয়েকটি ভালো দিক বা সফলতা নিজের কাছে স্বীকার করুন। নিজেকে নিয়ে পজিটিভ চিন্তা করুন। ইতিবাচক মনোভাব উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে।
৭. প্রয়োজন হলে কাউন্সিলরের সাহায্য নিন
মানসিক দুশ্চিন্তা বেশি হলে বা নিজে সামলাতে না পারলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সিলরের সাথে কথা বলুন। পেশাদার সহায়তা মানসিক সুস্থতার পথ সহজ করে।
৮. সুস্থ খাদ্যাভ্যাস
সুস্থ্য থাকতে সুষম খাবারের বিকল্প নেই।
পর্যাপ্ত পানি পান, ফলমূল, শাকসবজি ও সুষম খাদ্য শরীরের পাশাপাশি মনকেও ভালো রাখে।
৯. নিয়মিত মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম
মেডিটেশন, মাইন্ডফুলনেস বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস মনকে শান্ত করে এবং স্ট্রেস কমাতে বিশেষভাবে কার্যকর।
১০. সব কিছু নিজের ওপর চাপ নেবেন না। ‘না’ বলতে শেখা মানসিক সুস্থতার অন্যতম চাবিকাঠি।
মানসিক স্বাস্থ্য একদিনে তৈরি হয় না। নিয়মিত ছোট ছোট অভ্যাসই মনকে শান্ত ও স্থির রাখে। নিজেকে সময় দিন, নিজের প্রতি সদয় হোন—সুস্থ মানসিকতার ভিত্তি এখানেই।
0 মন্তব্যসমূহ